সাড়ে তিন মিনিটের ব্যবধানে মেট্রোরেল চালানোর কথা, প্রতি ১০ মিনিটে কেন চলছে?

যাত্রীরা মেট্রোরেলে উঠছেন। বেশিরভাগ সময়ই স্টেশনে ভিড় থাকে। যাত্রীরা বলছেন, ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ছবি: সম্প্রতি মতিঝিল স্টেশনে সাজিদ হোসেন

 

রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর বেশ খুশি মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবুল হাসান ফজলে রাব্বি। কিন্তু এখন কিছুটা হতাশ তিনি। কারণ, মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন থেকে ট্রেনে উঠতে তাকে হিমশিম খেতে হয়।


 ফজলে রাব্বি মিরপুরের বাসিন্দা। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সকালে ট্রেনের যাত্রীদের টইটুম্বুর হয়। নিজেকে পুশ আপ করতে হবে। শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও ঘুরে দেখা যায়, কিছু যাত্রী উঠতে পারছেন না। সন্ধ্যায় ফেরার পথে মধ্যবর্তী কয়েকটি স্টেশনে একই দৃশ্য দেখেন।


 ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দিবা-রাত্রির মেট্রোরেলের পর স্তূপ করে চলাচল করছে যাত্রীরা। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় প্রচুর ভিড় থাকে। কিছু মধ্যবর্তী স্টেশন থেকে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ছে।


 ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, এখন পিক আওয়ারে আট সেট এবং বিশ্রামের সময় সাত সেট ট্রেন চলে। যাইহোক, যান্ত্রিক সমস্যা এড়াতে সমস্ত 24 টি ট্রেনকে ডাইভার্ট করা হয়েছে।

 যাত্রীরা বলছেন, মেট্রোরেল চলাচলে গতি বাড়িয়েছে। তবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।


 ঢাকায় মেট্রোরেল ব্যবস্থা নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বলছে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রতি সাড়ে তিন মিনিটে ট্রেন চালানোর সক্ষমতা তাদের রয়েছে। এখন 10 থেকে 12 মিনিটের ব্যবধানে চলছে। পূর্ণ গতিতে এবং ওভারটাইমে ট্রেন চালানোর জন্য অতিরিক্ত জনবল প্রয়োজন। জনশক্তি প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। ঘাটতি আছে।


 ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক প্রথম আলো</em>কে বলেন, যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী তারা দুটি ট্রেনের মধ্যে ব্যবধান কমানোর সিদ্ধান্ত নেবেন। জুলাইয়ের মধ্যে ধীরে ধীরে পূর্ণ যান চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে তারা এগোচ্ছে। তিনি মনে করেন, এখন যাত্রীর চাপ বেশি। এর কারণ বইমেলা ও বাণিজ্য মেলা। ইজতেমাকেন্দ্রিক যাত্রী ছিল বেশি। তবে এই প্রবণতা স্থায়ী হবে কি না তা নিশ্চিত নয়। যাত্রী চাহিদা দেখে মেট্রোরেলের চলাচল বাড়ানো হবে।

আরও দেখুন 



Post a Comment

Previous Post Next Post

Social bar

250 300

160 600